স্কুলে একদিন আমাদের Accounting এর সুজিত স্যার আসেন নি। আমরা তো ভীষণ খুশি। একটা ক্লাস অন্তত ফাকি দেয়া যাবে। কিন্তু দেখা গেল ৫ মিঃ পরেই আমাদের ক্লাস টিচার নুরুল ইসলাম প্রামাণিক এসে হাজির। আমাদের ইংলিশ টিচার। উনি তো আর Accounting পড়াবেন না। স্যার এসে ছাত্র-ছাত্রীদের দুই ভাগ করে Word Building খেলা শুরু করলেন।
ছেলেরা একদলে আর মেয়েরা একদলে। আমার ধারণা এই খেলাটা সবাই ছোটবেলায় খেলেছেন। এখন যদিও এত বড় হই নি যে আকাশ ছুতে পাড়ব। খেলার নিয়ম হচ্ছে, বোর্ডে Horizontal এবং Vertical দাগ টেনে ছোট ছোট ঘর করা হয়। ঘরে একটি মাত্র অক্ষর বসিয়ে শব্দ তৈরি করতে হবে। অক্ষরের সংখ্যা যত তত পয়েন্ট। এবং আরেকটা যেটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম সেটা হল যে শব্দটা তৈরি হল সেটার অর্থ অবশ্যই বলা লাগবে। না হলে দেখা যাবে উল্টাপাল্টা শব্দ লিখে পয়েন্ট নিয়ে নিচ্ছে।
খেলার এক পর্যায়ে কিছু শব্দ তৈরি হয় যেমন IS(হয়), এর নিচে ASS(গাধা), এর নিচে ছিল SON(পুত্র)। আমি গিয়ে উপরে শুধু K দিয়ে দিলাম। অর্থাৎ KISS। আমি এর অর্থ না বলেই আমার সীটে চলে আসছিলাম। কেউ অর্থ জানতেও চায় নি। কারণ অর্থ সবাই জানে। কিন্তু একটা মেয়ে নাম প্রান্টা (আমরা সবাই পান্তা খালাম্মা বলে খেপাতাম), সে বলল অর্থ বলা লাগবে। ও ভাল করেই জানে আমার মত মুখচোরা ছেলে ক্লাসে এর অর্থ বলতে পারবে না। এবং এর জন্য আমাদের পয়েন্ট মাঠে মারা যাচ্ছিল। তখন আমি বললাম '' এখানে সবার সামনে তো এটার অর্থ বলা যাবে না। বরং বাইরে আস আমি তোমাকে প্রাকটিকালি দেখিয়ে দেব।'' প্রান্টা ছাড়া সবাই তখন হাসছিল। এমনকি আমাদের স্যারও। পরে এক পর্যায়ে SEX শব্দটাও বানিয়েছি। যদিও কেউ অর্থ জানতে চায়নি। চাইলে আর কেউ হয়ত প্রকটিকালি দেখিয়েই দিত। এ সুযোগ ত কেউ ছাড়তে চাইবে না।
7 মন্তব্য:
টিনেজ-লাইফের দুষ্টু-মিষ্টি স্মৃতিগুলো বড় বেশি নস্টালজিয়ায় আক্রান্ত করে...কী ভাবে যেন একমুঠো বালির মত আঙুলের ফাঁক গলে হারিয়ে গেল সেই সময়!
ঠিকই বলেছেন ভাইয়া। আমার মতে গার্লফ্রেন্ড হারিয়ে যাক সমস্যা নাই। গার্লফ্রেন্ডের সাথে কাটানো সময়ের স্মৃতিটুকু যেন না হারায়। সেটা তিক্ত হোক অথাবা সুন্দর হোক...।
ঠিকই বলেছেন ভাইয়া। আমার মতে গার্লফ্রেন্ড হারিয়ে যাক সমস্যা নাই। গার্লফ্রেন্ডের সাথে কাটানো সময়ের স্মৃতিটুকু যেন না হারায়। সেটা তিক্ত হোক অথাবা সুন্দর হোক...।
টিনেজ-লাইফের দুষ্টু-মিষ্টি স্মৃতিগুলো বড় বেশি নস্টালজিয়ায় আক্রান্ত করে...কী ভাবে যেন একমুঠো বালির মত আঙুলের ফাঁক গলে হারিয়ে গেল সেই সময়!
ঠিকই বলেছেন ভাইয়া। আমার মতে গার্লফ্রেন্ড হারিয়ে যাক সমস্যা নাই। গার্লফ্রেন্ডের সাথে কাটানো সময়ের স্মৃতিটুকু যেন না হারায়। সেটা তিক্ত হোক অথাবা সুন্দর হোক...।
আপ্ন্বের মত মুখচোরা ছেলে বলে দিল "বাইরে আসন প্রাকটিকাল দেখাই" আর বলেন আপনি একটা মুখচোরা ছেলে !! তা আবার স্যারের সামনে !! :O আমি তো কিছুই বলতে পারতাম না । আপ্নে মুখচোরা হলে তাহলে আমি তো বোবা ;)
ভাইরে তখন যে কেমন মুখচোরা ছিলাম যদি দেখতে তাহলে বলতে সায়ন ভাই এখন বোরখা ছেড়ে খেমটা নাচ নাচে।;)
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
আপনার মন্তব্য পেলে খুশি হবো। সেটা যতই তিক্ত হোক না কেনো। আপনার সদয়/অসদয় মতামতের জন্য ধন্যবাদ জানবেন।